ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও র‍্যালিতে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।
গত ১০-১১-২০২৫ ইং তারিখে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও র‍্যালীতে আমার বক্তব্য নিয়ে কিছু কথা…
ফেসবুকে লক্ষ্য করছি গতকালকের প্রোগ্রামে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি, প্রবীণ রাজনীতিবীদ জনাব আলমগীর খাঁন ছাতু ভাইয়ের বক্তব্য চলাকালীন আমার একটি কথার ভিডিও দিয়ে অনেকে নানা রকম মন্তব্য করেছেন। আলমগীর খাঁন ছাতু ভাই দলের সিনিয়র নেতা। আমি উনাকে সম্মান করি। উনার সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। উনার সম্মান ক্ষুন্ন হবে এমন কোনো কথা বা কাজ আমি কখনো করিনি, আগামীতেও করবো না।
মূলত আমার কথাটির ব্যাখা আপনারা সকলে নিশ্চয় অবগত আছেন ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র একটি আংশিক আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন। আহবায়ক কমিটি গঠন হওয়ার পর দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌর, জেলা বিএনপি’র কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করি। আহবায়ক কমিটি গঠন হওয়ার পর আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করলেও মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জনাব মাসুদ অরুন আমাদেরকে কোনো রকম সহযোগিতা করেননি। বরং তিনি নানা ভাবে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত সহ সহ কমিটির বিরুদ্ধে মিছিল মিটিং, নানা রকম নেগেটিভ মন্তব্য করেছিলেন, সরাসরি কমিটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। ফলে মেহেরপুর জেলা বিএনপিতে কোন্দল বিরাজমান। এমনত অবস্থায় গত ০৩ নভেম্বর, ২০২৫ বিএনপি’র সারাদেশে ২৩৭ টি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় মেহেরপুর-১ আসনে জনাব মাসুদ অরুনের নাম ঘোষণা হয়। তারপর থেকে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র বর্তমান কমিটির অধিনস্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভিতর চরম অসন্তোষ কাজ করছে।

তাই গতকাল জনাব আলমগীর খাঁন ছাতু ভাইয়ের বক্তব্য চলাকালীন সময় আমি বোঝাতে চেয়েছি যে আমাদের প্রিয়নেতা জনাব তারেক রহমান যার হাতে ধানের শীষ তুলে দেবেন সেটা আমরা মেহেরপুর জেলা বিএনপি বসে কোন্দল নিরসন করতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে অবশ্যই ধানের শীষের পক্ষে। কারণ এই মূহুর্তে যখন কর্মীরা কোন্দলে জড়িয়ে আছে সেখানে আলোচনার মাধ্যমে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে কাজ করলে ধানের শীষের বিজয় আসবে ইনশাআল্লাহ।
আপনারা আমার সকল বক্তব্য শুনে দেখবেন আমি প্রায় প্রতিটি কর্মসূচীতে বলেছি, আজ আবারও অঙ্গিকার করছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের প্রিয়নেতা জনাব তারেক রহমান যার হাতে মেহেরপুর-১ আসনে চূড়ান্ত ভাবে ধানের শীষ তুলে দেবেন তাকেই আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র নেতৃত্বে বিজয়ী করে মেহেরপুর-১ আসনের সিটটি জনাব তারেক রহমানকে উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।
প্রিয়নেতা জনাব তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। সকলের ভালোবাসা পেতে চাই, ভালোবাসা দিতে চাই।